চর্যাপদ বাংলা লিখিত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। ধারণা করা হয় এটি খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে রচিত হয়েছিল। চর্যার প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতি... more**প্রাচীন যুগ
চর্যাপদ বাংলা লিখিত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। ধারণা করা হয় এটি খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে রচিত হয়েছিল। চর্যার প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন।
কথায় আছে "চোখ যে মনের কথা বলে"।আসলেই কি তাই?চোখের মধ্যে দিয়ে কি একজন মানুষের সত্যিকার চরিত্রের পরিচয় পাওয়া যায়?
চোখের ভাষা নিয়েই শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর ছোট কলেবরের উপন্যাস "চোখ"।উপন্যাসের মূল চরিত্র প্রচন্ড বদরাগী কিন্ত সৎ,নির্ভীক ও দুঃসাহসী পুলিশ অফিসার যীশু বিশ্বাস।তার চোখের দিকে তাকাতে সবাই ভয় পায়,কি যেনো একটা আছে তার চোখে।এমনকি যীশুর স্ত্রী বকুল ও ভাবে তার চোখে খুনে ভাব আছে,খুনের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এক পর্যায়ে স্বামীকে ছেড়ে চলে যায়।পুল... more
বই : চোখ
লেখক : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
কথায় আছে "চোখ যে মনের কথা বলে"।আসলেই কি তাই?চোখের মধ্যে দিয়ে কি একজন মানুষের সত্যিকার চরিত্রের পরিচয় পাওয়া যায়?
চোখের ভাষা নিয়েই শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর ছোট কলেবরের উপন্যাস "চোখ"।উপন্যাসের মূল চরিত্র প্রচন্ড বদরাগী কিন্ত সৎ,নির্ভীক ও দুঃসাহসী পুলিশ অফিসার যীশু বিশ্বাস।তার চোখের দিকে তাকাতে সবাই ভয় পায়,কি যেনো একটা আছে তার চোখে।এমনকি যীশুর স্ত্রী বকুল ও ভাবে তার চোখে খুনে ভাব আছে,খুনের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এক পর্যায়ে স্বামীকে ছেড়ে চলে যায়।পুলিশের চাকরী করতে গিয়ে ৩ জনকে খুন করে কিন্ত সমস্যা দেখা দেয় চতুর্থ জনকে জেলের ভেতর মেরে ফেলার পর।শেষোক্ত অপরাধীর সঙ্গীনি যীশুর উপর প্রতিশোধ নিতে উন্মত্ত হয়ে যায় ঠিকই কিন্ত এখানেও অদ্ভুত এক প্রভাব খাটায় যীশুর চোখ।অন্য এক নারী কমল যে কিনা বিয়ের আসরেই বিধবা হয়েছিল, তার সাথেও যীশুর অস্পষ্ট এক সম্পর্কের তৈরী হয় তাও তার সেই চোখের আকর্ষণী মোহের জন্যেই।শেষ পর্যন্ত যীশুকে তার অদ্ভুত চোখের জন্য আর কি কি মাশুল দিতে হবে তা জানতে বইটা পড়তে হবে।
"চোখ" উপন্যাসে লেখক সরল ও আন্তরিক ভাষায় অপরাধ ও রাজনৈতিক জগতের কিছু জটিলতা তুলে ধরেছেন।এক আশ্চর্য চাহনিকে কেন্দ্র করে তীব্র কৌতুহলের এক উপন্যাস ‘চোখ’।
"এইভাবে সবকিছু একদিন গল্প হয়ে যায়।
জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দুঃখ, যে দুঃখে অনেক ভালবাসা, যে ভালবাসায় অনেক ছেলেবেলা.."
বইঃ কালো বরফ
লেখকঃ মাহমুদুল হক
আবদুল খালেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন কলেজ শিক্ষক। ছোটকালে যে ছিল সবার পোকা। যে পোকাকে ঘিরে ছিল মা বাবা, রাণিবুবু, টিপু ভাইজান, মনি ভাইজান, ছিল একটা পা ভাঙা শালিক পাখি। মুখে আঙুল পুড়ে কখনো পুকুর ঘাটে, কখনো বারান্দায়, কখনো বা মনি ভাইজানের সাথে পাড়ার ফুটবল মাঠে। এভাবে ঝগড়া, বিবাদ, সুখের স্মৃতি নিয়ে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল ... more"এইভাবে সবকিছু একদিন গল্প হয়ে যায়।
জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দুঃখ, যে দুঃখে অনেক ভালবাসা, যে ভালবাসায় অনেক ছেলেবেলা.."
বইঃ কালো বরফ
লেখকঃ মাহমুদুল হক
আবদুল খালেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন কলেজ শিক্ষক। ছোটকালে যে ছিল সবার পোকা। যে পোকাকে ঘিরে ছিল মা বাবা, রাণিবুবু, টিপু ভাইজান, মনি ভাইজান, ছিল একটা পা ভাঙা শালিক পাখি। মুখে আঙুল পুড়ে কখনো পুকুর ঘাটে, কখনো বারান্দায়, কখনো বা মনি ভাইজানের সাথে পাড়ার ফুটবল মাঠে। এভাবে ঝগড়া, বিবাদ, সুখের স্মৃতি নিয়ে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল পোকা। তবে একদিন সুর কেটে যায়। দেশভাগের কারণে পোকার পরিবারকে চলে যেতে হয় পাকিস্তানে। ছেড়ে যেতে হয় গিরিবালা, কেনারাম কাকা, মাধু, ছবিদিসহ আরো অনেককে।
এরপর?
এরপর জীবন চলতে থাকে জীবনের নিয়মে। পোকা হয়ে উঠে আবদুল খালেক। আর তাকে ঘিরে থাকা সবাই একদিন গল্প হয়ে আশ্রয় নেয় ডায়েরির পাতায়। পরম যত্নে রাতের অন্ধকারে বসে সে গল্পগুলো লিখে। আর প্রতিটি শব্দ যেন আদরমাখা গলায় বলে, "আমায় একটু কোলে নাও।"
একদিন একঝাঁক মানুষের মাঝে থাকা আবদুল খালেকের জীবন আবদ্ধ হয়ে যায় রেখাটুকুতে। স্ত্রী, সন্তানের মাঝে থেকেও কোথায় যেন হারিয়ে যায় সে। স্ত্রী রেখা তার কারণ জানতে চাইলেও উত্তর দিতে পারে না আবদুল খালেক। আবদুল খালেক পারে না রেখাকে মাধুরী, ছবিদি, মনি ভাইজানের সব কথা বলতে।
কারণ কিছু স্মৃতি আছে যা কারো সাথে ভাগাভাগি করা যায় না, বোঝানো যায় না তা কত দামী। শুধু অবেলার অবসরে ঐ স্মৃতিগুলো গানের কলির মতো ফিরে ফিরে আসে। যে গানের কলিতে ভরদুপুরেও আকাশে চাঁদ উঠে, সব রোগের নিরাময় ঘটে, সব পাপ ধুয়ে যায়, জগৎ সংসার ভেসে যায়।
এটি রিভিউ হয়েছে কিনা জানি না। এই গল্পের রিভিউ কেমন হবে তাও জানি না। কিভাবে জানবো এটা যে জীবনের গল্প! একটি জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা আরো কিছু জীবনের সুখের গল্প, দুঃখের গল্প, চুলের ফিতের গল্প, ছেলেবেলার ভালোবাসার গল্প। শুধু এটুকু বলতে পারি 'কালো বরফ' গল্পটি পড়ার সময় বার বার মনে হচ্ছিল প্রতিটি শব্দ যেন নিঃশব্দে চিৎকার করে বলছে সব একদিন গল্প হয়ে যাবে যাদের ঠিকানা হবে হয়তো ডায়েরির পাতায় কিংবা মনের খুব গভীরে!